নবিজি (সা.) কী দিয়ে ইফতার করতেন?
নবিজি (সা.) কী দিয়ে ইফতার করতেন?
ইফতার ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি রীতি। রোজার শেষে রোজাদার মুসলিমরা রোজা খোলার সময় সাধ্যমতো খাবার গ্রহণ করে থাকে। তবে, মুসলমানদের জন্য এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, কিভাবে নবিজি (সা.) ইফতার করতেন। নবিজি (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে আমাদের জন্য, কারণ তাঁর জীবন আমাদের জন্য একটি নিদর্শন।
নবিজি (সা.) ইফতার করতেন যেসব খাবার দিয়ে:
-
খেজুর: নবিজি (সা.) এর ইফতার শুরু হতো সাধারণত খেজুর দিয়ে। খেজুর ছিল তাঁর প্রিয় খাদ্য, এবং এটি ইফতার করার জন্য খুবই উপকারী। নবিজি (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রোজা রাখে, তার জন্য ইফতার করতে খেজুরের চেয়ে ভালো কিছু নেই।" (তিরমিজি)
-
পানি: খেজুর খাওয়ার পর নবিজি (সা.) পানি পান করতেন। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবিজি (সা.) বলেছেন, "যখন রোজাদার ইফতার করে, তখন তার ইফতার পানির মাধ্যমে করা উচিত।" (তিরমিজি)
-
দুধ বা অন্য তরল: খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতার করার পর, নবিজি (সা.) কখনো কখনো দুধ পান করতেন। দুধ একটি পূর্ণ পুষ্টিকর পানীয়, যা শরীরের জন্য উপকারী।
-
রুটি এবং মাংস: ইফতারে সাধারণত নবিজি (সা.) পিঠা বা রুটি খেতেন এবং মাঝে মাঝে মাংসও খেতেন। মাংস তাঁর খাদ্য তালিকায় মাঝে মাঝে থাকতো, তবে এটি ছিল সামান্য পরিমাণে।
-
শাহাদাতির: নবিজি (সা.) কখনো কখনো ফলের জুস বা খেজুরের সিরাপও পান করতেন, যা তাঁর শরীরকে তাজা রাখত।
ইফতার করার সঠিক পদ্ধতি:
নবিজি (সা.) ইফতার করার সময় একটি বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করতেন। তিনি প্রথমে তিনটি খেজুর খেতেন, যদি খেজুর না থাকতো তবে কিছু পানি পান করতেন। এর পরে তিনি মাগরিব নামাজ আদায় করতেন এবং পরে পূর্ণ আহার গ্রহণ করতেন। এই পদ্ধতিটি শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগানোর জন্য আদর্শ।
নবিজি (সা.) এর ইফতার শিক্ষা:
নবিজি (সা.) এর ইফতার খাওয়ার পদ্ধতিটি আমাদের শেখায়, যাতে আমরা শালীনতার সাথে ইফতার করি এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করি। সঠিকভাবে ইফতার করতে হলে আমাদের খাওয়ার সময়টা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং প্রার্থনাও যেন বাদ না পড়ে।
শেষে:
এভাবেই নবিজি (সা.) ইফতার করতেন, যা আমাদের জন্য একটি মহান শিক্ষা। আমাদের উচিত তাঁর এই আদর্শ অনুসরণ করা এবং ইফতারকে আমাদের জীবনযাত্রার একটি পবিত্র অংশ হিসেবে মান্য করা।