ফুড পয়জনিং হলে করণীয়

 ফুড পয়জনিং হলে করণীয় 

ফুড পয়জনিং হলে করণীয় 

ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অস্বাস্থ্যকর বা জীবাণুযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে ঘটে। এতে পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত এই সমস্যা তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিজেই সেরে যায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণসমূহ:

  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া)
  • পেটব্যথা
  • জ্বর
  • ক্লান্তি
  • মাথাব্যথা

ফুড পয়জনিং হলে করণীয়:

  1. পানিশূন্যতা প্রতিরোধ: শরীর থেকে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ক্ষতি হয়, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন বা ফলের জুস পান করুন।

  2. বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

  3. খাদ্য গ্রহণ: পেট শান্ত হলে সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন, যেমন কলা, ভাত, সেদ্ধ শাকসবজি, টোস্ট ইত্যাদি। চর্বিযুক্ত, মসলাদার বা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

  4. ঘরোয়া প্রতিকার: কুঁচি আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে এবং পেটব্যথা কমে। এছাড়া, জিরাগুঁড়ো, তুলসীপাতা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াও উপকারী।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

  • পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে
  • তীব্র জ্বর (১০১.৫°F বা তার বেশি) থাকলে
  • তিন দিনের বেশি ডায়রিয়া চলতে থাকলে
  • তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে (যেমন: প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, মুখ ও গলা শুকিয়ে আসা)

ফুড পয়জনিং প্রতিরোধের উপায়:

  • রাস্তার খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • বাসন-কোসন ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
  • খাবার সংরক্ষণে সতর্ক থাকুন; ফ্রিজে রাখুন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার এড়িয়ে চলুন।

ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, সঠিক যত্ন ও সচেতনতা অবলম্বন করে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩