Payoneer বনাম PayPal: কোনটি ভালো?

Payoneer বনাম PayPal: কোনটি ভালো?

Payoneer বনাম PayPal: কোনটি ভালো? 


অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে Payoneer এবং PayPal দুটি অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। অনেক ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন ব্যবসায়ী এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই দুটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন থাকে—Payoneer নাকি PayPal, কোনটি বেশি ভালো? এই পোস্টে আমরা উভয় প্ল্যাটফর্মের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।


Payoneer ও PayPal: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

Payoneer

Payoneer হলো একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে, যা মূলত ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পেমেন্ট গ্রহণকারীদের জন্য জনপ্রিয়। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে ২০০টিরও বেশি দেশে সেবা প্রদান করছে।

PayPal

PayPal বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ২০৩টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বিভিন্ন মুদ্রায় লেনদেন করার সুযোগ দেয়।


Payoneer বনাম PayPal: মূল পার্থক্য

বিষয় Payoneer PayPal
লেনদেন খরচ তুলনামূলক কম তুলনামূলক বেশি
প্রাপ্যতার সুযোগ অধিকাংশ দেশে সাপোর্ট করে কিছু দেশে সীমাবদ্ধ
ব্যাংক ট্রান্সফার ফি কম ফি তুলনামূলক বেশি
ক্রিপ্টো ও অন্যান্য পেমেন্ট অপশন নেই সমর্থন করে
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুবিধা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযোগী কিছুটা ব্যয়বহুল
কার্ড সুবিধা Payoneer Prepaid Mastercard PayPal ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড
কাস্টমার সাপোর্ট মাঝারি মানের ভালো

Payoneer-এর সুবিধা ও অসুবিধা

সুবিধা:

✅ Payoneer-এর মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়।
✅ ফ্রিল্যান্সার এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য উপযোগী।
✅ তুলনামূলকভাবে কম ট্রান্সফার ফি।
✅ Payoneer Mastercard-এর মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। ✅ অধিকাংশ দেশে পাওয়া যায়।

অসুবিধা:

❌ Payoneer-এ সরাসরি কার্ডে টাকা যোগ করা যায় না।
❌ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়া অন্যভাবে টাকা রিসিভ করতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে।
❌ কিছু ক্ষেত্রে ফান্ড হোল্ড বা লেনদেন স্থগিত হতে পারে।


PayPal-এর সুবিধা ও অসুবিধা

সুবিধা:

✅ দ্রুত ও সহজ ট্রান্সফার।
✅ অনেক দেশ ও ই-কমার্স সাইট PayPal সমর্থন করে।
✅ পেমেন্ট রিফান্ড ও কাস্টমার প্রটেকশন সুবিধা আছে।
✅ বিভিন্ন কারেন্সি সাপোর্ট করে।

অসুবিধা:

❌ তুলনামূলক বেশি লেনদেন খরচ।
❌ বাংলাদেশসহ কিছু দেশে PayPal পুরোপুরি কার্যকর নয়।
❌ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেশি ট্রান্সফার ফি চার্জ করে।
❌ মাঝে মাঝে অ্যাকাউন্ট লিমিটেড বা ব্লক হয়ে যেতে পারে।


ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীদের জন্য কোনটি ভালো?

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য Payoneer বেশি উপযোগী, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম ফি নিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুযোগ দেয়।

অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য PayPal ভালো হতে পারে, কারণ এটি অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত এবং তাত্ক্ষণিক পেমেন্ট সুবিধা দেয়।


উপসংহার: কোনটি ব্যবহার করবেন?

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি Payoneer অথবা PayPal ব্যবহার করতে পারেন। যদি কম খরচে ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্ট পেতে চান, তবে Payoneer ভালো। অন্যদিকে, যদি দ্রুত লেনদেন ও সহজ ব্যবহার চান, তবে PayPal ভালো হতে পারে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩