তারাবিহ নামাজের ফজিলত

 তারাবিহ নামাজের ফজিলত

তারাবিহ নামাজের ফজিলত


তারাবিহ নামাজ হলো রমজান মাসে রাতে সুনান (শরিয়ত অনুযায়ী) যিকির, নামাজ এবং ইবাদত হিসেবে যে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়, তাকে বলা হয় "তারাবিহ নামাজ"। এই নামাজটি রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অতিরিক্ত সুনান নামাজের একটি অংশ হিসেবে ২০ রাকাত নামাজে আদায় করা হয়। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভ এবং অন্যান্য নেক কাজের সওয়াব অর্জন করা যায়।

তারাবিহ নামাজের ফজিলত বা গুরুত্ব

১. রমজান মাসে ইবাদত করার সওয়াব:
রমজান মাস হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ বরকতপূর্ণ মাস। এই মাসে নামাজ, যিকির এবং অন্যান্য ইবাদত তাত্ত্বিকভাবে বেশি সওয়াব অর্জন করার উপায়। তারাবিহ নামাজে অংশগ্রহণ করলে আমাদের সমস্ত কাজ ও ইবাদতের সওয়াব গুণিত হয়। এটি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি শ্রেষ্ঠ উপায়।

২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুপ্রেরণা:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ আদায় করতেন এবং তিনি তার উম্মতকেও এই নামাজ পড়তে উৎসাহিত করতেন। তারাবিহ নামাজ আদায় করা, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তার ইবাদত বাড়ানোর একটি উত্তম উপায়।

৩. দোয়ার কবুল হওয়ার সম্ভাবনা:
রমজান মাসে প্রতি রাতে তারাবিহ নামাজ আদায় করার ফলে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ একটি সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত, শাবান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “রমজান মাসের রাতগুলোতে তোমরা দোয়া করো, কারণ আল্লাহ তোমাদের দোয়া কবুল করবেন।”

৪. প্রতিটি রাকাতে সওয়াব:
তারাবিহ নামাজের প্রতি রাকাতে বহু সওয়াব থাকে। এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেয়। প্রতিটি রাকাতে আল্লাহর রহমত ও বরকত আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে।

৫. গুনাহ মাফ হওয়ার সুযোগ:
যদি কোনো ব্যক্তি তারাবিহ নামাজে হৃদয়ে আস্থা রেখে দোয়া করে, তাহলে তার গুনাহ মাফ হয়ে যেতে পারে। ইসলামে বিশ্বাসী মানুষ যে কোন পাপ ও গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে যদি তারা আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তাওবা করে।

৬. আল্লাহর নৈকট্য লাভ:
তারাবিহ নামাজ এক ধরনের আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। এটি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করে এবং উক্ত মাসের প্রতিটি ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর কাছে কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।

শেষ কথা

তারাবিহ নামাজ রমজান মাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে বেশি সওয়াব এবং রহমত অর্জন করতে পারে। এটি শুধু শারীরিক ইবাদত নয়, এটি এক মনোজগতের আত্মীয়তা এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ার একটি মাধ্যম। তাই এই রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে তা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর এবং আল্লাহর রহমতপূর্ণ করে তুলতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩