অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস

 

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস: ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর সহজ উপায়

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস 

ভূমিকা

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। তবে সঠিক ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস ব্যবহার করে আপনি ফোনের ব্যাটারি লাইফ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারেন। এই পোস্টে, আমরা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যাটারি অপটিমাইজেশনের বিভিন্ন সেটিংস ও টিপস নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার ফোনকে দীর্ঘ সময় ধরে চালু রাখতে সাহায্য করবে।


১. ব্যাটারি অপটিমাইজেশন কী?

অ্যান্ড্রয়েডের ব্যাটারি অপটিমাইজেশন একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলোর কার্যকলাপ সীমিত করে ব্যাটারি সঞ্চয় করে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ (Marshmallow) থেকে চালু হয়েছে এবং এখনো প্রতিটি নতুন আপডেটে আরও উন্নত হচ্ছে।

ব্যাটারি অপটিমাইজেশন মূলত তিনভাবে কাজ করে—
ডোজ মোড: যখন ফোন দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করা হয়, তখন এটি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলোর কাজ সীমিত করে।
অ্যাপ অপটিমাইজেশন: নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ করে।
অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি: ফোনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্দিষ্ট করে কোন অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খরচ করছে এবং সেটিকে সীমিত করে।


২. ব্যাটারি অপটিমাইজেশন চালু/বন্ধ করার উপায়

👉 অপটিমাইজেশন চেক করার উপায়

আপনার ফোনের ব্যাটারি অপটিমাইজেশন চালু আছে কিনা তা চেক করতে—
1️⃣ Settings > Battery > Battery Usage এ যান।
2️⃣ এখানে আপনি কোন অ্যাপ কত ব্যাটারি ব্যবহার করছে তা দেখতে পাবেন।

👉 নির্দিষ্ট অ্যাপের ব্যাটারি অপটিমাইজেশন চালু বা বন্ধ করা

1️⃣ Settings > Battery > Battery Optimization এ যান।
2️⃣ "All Apps" নির্বাচন করুন এবং যে অ্যাপের অপটিমাইজেশন পরিবর্তন করতে চান সেটি খুঁজে বের করুন।
3️⃣ "Optimized" (ডিফল্ট) বা "Don't Optimize" অপশন থেকে বেছে নিন।

📌 কখন "Don't Optimize" ব্যবহার করবেন?
যদি কোনো অ্যাপ সবসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা জরুরি হয়, যেমন: হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ম্যাপস বা কোনো হেলথ ট্র্যাকিং অ্যাপ, তাহলে এর জন্য "Don't Optimize" নির্বাচন করুন।


৩. ব্যাটারি বাঁচানোর সেরা সেটিংস ও টিপস

ডার্ক মোড চালু করুন: OLED ডিসপ্লে ব্যবহারকারী ফোনের জন্য এটি কার্যকর।
অ্যাডাপটিভ ব্রাইটনেস ব্যবহার করুন: ফোনের ডিসপ্লে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উজ্জ্বল হলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করুন: Settings > Apps > Background Apps থেকে ম্যানেজ করুন।
লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন: Google Maps বা GPS প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখুন।
অটো-সিঙ্ক বন্ধ করুন: Gmail, Google Drive, Facebook ইত্যাদি অটো-সিঙ্ক বন্ধ করলে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়।


৪. অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি মোড ব্যবহার করা

অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ (Pie) এবং তার পরের ভার্সনগুলোতে Adaptive Battery ফিচার রয়েছে যা AI ব্যবহার করে কম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপগুলোর ব্যাটারি ব্যবহার সীমিত করে।

🔹 চালু করতে:
Settings > Battery > Adaptive Battery > চালু করুন।


৫. ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করা

ব্যাটারি সেভার মোড চালু করলে—
✅ অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ হবে।
✅ লোকেশন ও অটো-সিঙ্ক সীমিত হবে।
✅ কিছু ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট কমে যাবে।

🔹 চালু করতে:
Settings > Battery > Battery Saver > Turn On Now

📌 টিপস: আপনার যদি ব্যাটারি ২০% বা তার কম হয়, তবে ব্যাটারি সেভার মোড চালু করলে ফোন আরও দীর্ঘক্ষণ চলবে।


উপসংহার

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে সঠিক অপটিমাইজেশন সেটিংস জানা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ কন্ট্রোল, অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি, ব্যাটারি সেভার মোড ও অন্যান্য টিপস অনুসরণ করলে আপনি আপনার ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে পারবেন।

আপনার ফোনের ব্যাটারি কতক্ষণ স্থায়ী হয়? নিচে কমেন্টে জানান!


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩