ঋতুস্রাব অবস্থায় রমাদানের আমল

 ঋতুস্রাব অবস্থায় রমাদানের আমল



রমাদান মাস সবার জন্যই বরকতময়। তবে মহিলাদের জন্য কিছু বিশেষ অবস্থা রয়েছে, যেমন ঋতুস্রাব (হায়েজ)। ইসলামে ঋতুস্রাব অবস্থায় নামাজ ও রোযা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে এ সময়েও অনেক আমল রয়েছে যা নারীরা করতে পারেন।

ঋতুস্রাব অবস্থায় যে আমলগুলো করা যাবে:

১. তাসবীহ ও যিকর

ঋতুস্রাব অবস্থায় বেশি বেশি আল্লাহর যিকর করা যেতে পারে। যেমন:

  • সুবহানাল্লাহ (পবিত্র আল্লাহ)
  • আলহামদুলিল্লাহ (সকল প্রশংসা আল্লাহর)
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই)
  • আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)
  • আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই)

২. দোয়া করা

রমাদানে দোয়া কবুলের বিশেষ সময় রয়েছে, বিশেষত ইফতারের সময়। তাই ঋতুস্রাব থাকা অবস্থায়ও মন থেকে দোয়া করা উচিত।

৩. কুরআন তিলাওয়াতের শ্রবণ

কুরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ হলেও কুরআন শ্রবণ করা জায়েজ। তাই মোবাইল বা অন্য মাধ্যমে কুরআন শুনতে পারেন।

৪. ইসলামিক বই ও হাদিস অধ্যয়ন

এ সময় ইসলামের জ্ঞান অর্জন করা এবং ইসলামিক বই, হাদিস, তাফসির অধ্যয়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের কাজ।

৫. সদকা ও দান করা

রমাদানে দান-সদকার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। তাই নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করা যেতে পারে।

৬. নফসকে সংশোধন করা

রমাদান আত্মশুদ্ধির মাস। তাই এ সময়ে নিজের চরিত্র গঠনের প্রচেষ্টা করা উচিত।

৭. ইসলামিক লেকচার ও ওয়াজ শোনা

ঋতুস্রাবের সময় ইসলামিক জ্ঞান বাড়ানোর জন্য ওয়াজ ও ইসলামিক লেকচার শোনা যেতে পারে।

যা থেকে বিরত থাকা উচিত:

  • নামাজ পড়া নিষিদ্ধ
  • কুরআন হাতে নিয়ে পড়া নিষিদ্ধ
  • রোযা রাখা নিষিদ্ধ

উপসংহার

ঋতুস্রাব অবস্থায় রোযা ও নামাজ নিষিদ্ধ হলেও রমাদানের বরকত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। একজন নারী এ সময়ে যিকর, দোয়া, দান-সদকা, ইসলামিক জ্ঞান অর্জন ও অন্যান্য ভালো কাজে মনোযোগ দিতে পারেন। এতে তিনি রমাদানের বিশেষ ফজিলত লাভ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩