মহিলাদের জন্য রমাদানের বিশেষ করণীয়
মহিলাদের জন্য রমাদানের বিশেষ করণীয়
রমাদান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ। নারীদের জন্যও এই মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু করণীয়, যা তাদের ইবাদত ও দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পালন করা সম্ভব।
১. সঠিক নিয়ত ও প্রস্তুতি
রমাদানের আগেই নিয়ত ঠিক করা উচিত যে, এই মাসটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাটাবো। মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিয়ে ইবাদত করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি।
২. তাহাজ্জুদ ও নফল নামাজ
রমাদান হলো ইবাদতের মাস। তাই রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন। এটি আত্মাকে প্রশান্তি দেয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম মাধ্যম।
৩. কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন
রমাদানের সঙ্গে কুরআনের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। নারীরা ঘরের কাজের পাশাপাশি নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়াত বা সুরা পড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
৪. দোয়া ও জিকির বৃদ্ধি করা
রমাদান দোয়া কবুলের মাস। তাই এই মাসে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষ করে সাহরি ও ইফতারের সময় দোয়া বেশি গ্রহণযোগ্য। তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির এবং ইস্তিগফার নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করুন।
৫. পরিবারের যত্ন ও সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা
নারীরা সাধারণত পরিবারের জন্য রান্নাবান্না ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই সময় ব্যবস্থাপনা করে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখার চেষ্টা করুন। রান্না ও ঘরের কাজের সময় জিকির করা যেতে পারে।
৬. সদকা ও দান
রমাদানে দান-সদকার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী অভাবী, এতিম ও মিসকিনদের সাহায্য করুন।
৭. স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সুস্থ থাকা
রমাদানে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা, সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা ও বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
৮. লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জন
রমাদানের শেষ দশ রাত বিশেষ করে বিজোড় রাতগুলোতে ইবাদতে মনোযোগী হওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা এই রাতে বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন।
৯. ঈদের জন্য পরিমিত প্রস্তুতি
রমাদানের শেষ দিকে ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে না পড়ে ইবাদতে বেশি মনোযোগী হতে হবে। ঈদের খরচে অপচয় না করে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করুন।
রমাদান নারীদের জন্য আত্মগঠনের এক অনন্য সুযোগ। এই মাসকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করা সম্ভব।